শাবিপ্রবি প্রতিনিধি :: যথাযোগ্য মর্যাদায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) উদযাপন করা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস। দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রবিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-২ এর সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সাথে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবস উদযাপন শুরু হয়।
এরপর সকাল ১০টা ১০ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। পরবর্তীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে শাবি শিক্ষক সমিতি, জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন কমিটি, বিভিন্ন দপ্তর, ডিনবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগ, হল প্রভোস্টবৃন্দ, শেখ রাসেল স্মৃতি পরিষদ, শাবি প্রেসক্লাবসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠন।
পরবর্তীতে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে সেমিনার ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সর্বদা চেয়েছিলেন শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি করতে। তিনি বলতেন- সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হলো শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগ। শিক্ষার মান উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু জাতীয় বাজেটের ৪-৬ শতাংশ বরাদ্দের কথা বলতেন। কিন্তু আমরা সেটা পারিনি। শিক্ষাক্ষেত্রে আমাদের বরাদ্দ মাত্র ১.৭৩ শতাংশ। শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে আমাদের উচিত বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন ও চিন্তাধারা অনুযায়ী কাজ করা। শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি হলে দেশকে কেউ পিছিয়ে রাখতে পারবে না।
সেমিনারে ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা ও বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত’ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান মিয়া। এ সময় প্রবন্ধটির উপরে আলোচনা করেন ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফারুক উদ্দিন।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী, শাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বঙ্গবন্ধু গবেষণা সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল গনি প্রমুখ।
এদিকে সকাল ১১টায় শিক্ষাভবন ডি-তে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সন্তানদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও বেলা ১১টা ৪০মিনিটে কিন স্কুলের শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা পরবর্তীতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপাচার্য। এরপর বাদ যোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল, সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টারে প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়।
এর আগে ১৬ ও ১৭ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আলোকসজ্জা করে উদযাপন কমিটি।
Leave a Reply